ভোটের ডাংকা বেজে উঠতেই জমে উঠেছে বনগাঁ লোকসভা

এবারে ভোটযুদ্ধের রনকৌশল হিসাবে কেউ মিশে যাচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে, কেউ হেঁশেলে ঢুকে খুন্তি নেড়ে সহায়তা করছেন গৃহিণীর কিংবা ক্ষেতের কাজে রত কৃষকের। প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন একান্ত আপনজনেদের মতই।
ভোট প্রচারে মশ্যমপুর গ্রামে এসে উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস ও সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ তথা নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে নিয়ে সংগঠিত হতে সকলকে আহ্বান জানান লোকসভা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। দেশের ও সাধারণ মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন করে ভারতবর্ষকে বিশ্বের মধ্যে একটা সম্মানজনক স্থানে প্রতিষ্ঠা করতে বিজেপিতে তথা পদ্ম ফুল প্রতিক চিহ্নে ভোট দিতে আহ্বান জানান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। প্রচার কালে প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে ছিলেন, বাগদার মন্ডল সভাপতি সুজয় বিশ্বাস, প্রতিশ্রুতিশীল তরুন বিজেপির আঞ্চলিক নেতা গনেষ পালের সঙ্গে শতাধিক বিজেপির কর্মী সমর্থক। এ ছাড়াও বিজেপি প্রার্থীর হয়ে বনগাঁ লোকসভা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে যাচ্ছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কংগ্রেসের বিধায়ক দুলাল চন্দ্র বরও। বিজেপিতে সংখ্যালঘু ভোট টানতে ও বিজেপি কোন সাম্পদায়িক রাজনৈতিক দল নয় এটা প্রমাণ করতে সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা পাটকেলগাছার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের আঞ্চলিক নেতা আলহ্বাজ সঞ্জীব পারভেজকেও মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছেন তিনি।
বাগদা, উঃ২৪পরগনা : ভোটের ডাংকা বেজে উঠতেই জমে উঠেছে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে জেঠিমা ও দেবর পুত্রের লড়াই। তারা উভয়ে স্ব স্ব দলের পক্ষে ভোট টানতে মাঠে নেমেছেন মরিয়া হয়ে। তাই সবার নজর এখন ঠাকুরবাড়ির দিকেই। কে জেতে আর কে হারে এই লোক সভার আসনে ? জয় ছিনিয়ে আনতে যেন ছক কষেই দাবার গুটি চালছেন একাক জন হিসেব করেই।

অপর দিকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমুল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুরকে দ্বিতীয়বার বিজয়ী করে দিল্লির পার্লামেন্টে পাঠানোর লক্ষ্যে ভোট প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীর সঙ্গে বাগদার ব্লক নেতৃত্ব। তাদের বলতে শোনা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এন আর সি বাস্তবায়নের কুফল, নোটবন্দিতে সাধারণ মানুষের সীমাহীন হয়রানি, মোদীজীর প্রত্যেক মানুষের ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতির কথা ও দল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুর সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, দল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় তিনি এমপি ল্যাডের সম্পুর্ন টাকা খরচ করে তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। তাই তার ব্যাংক একাউন্ট জিরোতে পরিনত করেছেন। এছাড়াও তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব তাদের লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুরের পক্ষে ভোট প্রদান করে মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করতে এবং তাঁর একাধিক জনমুখি প্রকল্পের প্রকল্প ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত একাধিক প্রকল্পের কথাও বলতে শোনা যাচ্ছ। প্রচার কালে প্রার্থীী মমতা বালা ঠাকুরের সঙ্গে ছিলেন, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়, জেলা পরিষদের সদস্য পরিতোষ সাহা, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মলয় বিশ্বাস, হেলেঞ্চার পঞ্চায়েত প্রধান চায়না বিশ্বাস প্রমুখ।
উত্তম সাহা, বাগদা, উঃ২৪পরগনা : অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, উঃ২৪পরগনা জেলার বাগদার এক বটগাছের খাঁজ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে উৎসুক জনতার ভীড় জমলো হরিহরপুর গ্রামে। ঘটনা স্থলে যেয়ে দেখা গেল বট গাছের খাঁজের মধ্যে সাপের ফনার মত মাসরুম জাতীয় প্রকান্ড এক ছত্রাক থেকেই এমনিতেই এক প্রকার ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। গ্রামবাসীরা তাদের গ্রামে মা মনষার আবির্ভাব ঘটেছে ভেবে পূজাপাঠ শুরু করেছেন। সেখানে তালাবন্ধ নতুন কাঠের ছোট ক্যাশ বাক্স রেখেছেন গ্রামবাসীরা। ভক্তরা দেদারসে দক্ষিণাও দিচ্ছেন সেখানে। মঙ্গলবার সেখানে গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে মা মনসার পূজোর আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামবাসী বিকাশ সাঁতরা জানান, এই স্থানটি খুবই জাগ্রত, এখানে বিভিন্ন প্রকার দেবদেবীর পূজাপাঠ হয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় সেখানে এক পাকা মন্দীরেরও নির্মাণ কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, এখানে বিভিন্ন দেব দেবীর পূজা পাঠ হলেও মা মনসার পূজাটাই শুধু হত না। এবার তিনি নিজে থেকেই তিনি এসে গেলেন। ২\৩ দিন যাবত এখানে ভক্তি সহকারে মা মনসার পূজা চলছে মাঝে মাঝে নাকি সেখানে দাঁড়স বা গোখরো সাপের আগমনও ঘটছে বলে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান।