বিগ্রহ বাড়িগুলোতে অঙ্গরাগের মাধ্যমে শুরু হলো রাসলীলার সূচনা।

বিশ্ব ব্যানার্জি, নদীয়াঃ বিগ্রহ বাড়িগুলোতে অঙ্গরাগের মাধ্যমে শুরু হলো রাসলীলার সূচনা। দেবতা জ্ঞানে পূজিত মূর্তির বিসর্জন হয়! কিন্তু শ্রী বিগ্রহ ঠাকুরবাড়ির পরিবারভুক্ত সদস্যের মতো পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে দেখা যায় পূজারীকে। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বিরাজ করেন ওই বিগ্রহের মধ্যে, তাই তিন বেলা নিত্যসেবা, শয়ন, বছরের বিভিন্ন শুভক্ষণে বিশেষ ধরনের খাদ্য প্রস্তুত করে নিবেদন করা হয়। ঋতু পরিবর্তনের সাথে, পোশাকেরও তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। আসন্ন রাস পূর্ণিমার শুভক্ষণ উপলক্ষে আজ থেকে ধাতব বা পাথরের বিগ্রহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সাথে, চক্ষুঅঙ্কন, রংলেপন করার মাধ্যমে নবরূপে সুসজ্জিত করা হয় বিগ্রহকে। তবে জনসমক্ষের অলক্ষে শুদ্ধ বস্ত্রপরে, উপোসথেকে নিষ্ঠাভরে এ কাজ করে থাকেন বংশ পরম্পরায়। এ কাজের জন্য শুধুমাত্র শিল্পদক্ষতা থাকলেই চলে না, প্রয়োজন অগাধ বিশ্বাস এবং ভক্তি। এরকমই এক দৃশ্য ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়। নদীয়ার শান্তিপুর গোপালপুরের সাহা বাড়ির বিগ্রহ র অঙ্গরাগ অর্থাৎ সাজসজ্জা। ওই বাড়ির সেবাইত জহর সাহা জানান, প্রায় ২৭০ বছর ধরে পুজিত হয়ে আসছেন রাধা কৃষ্ণ। আসল কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ এবং অষ্টধাতুর রাধা মূর্তি চুরি গিয়েছিল প্রায় ৭০ বছর আগে। গত বছরেও বিগ্রহর বিভিন্ন মূল্যবান অলঙ্কার চুরি যায়! ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সম্পর্কে সরকার সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করলে, নিরাপত্তার অভাবে এভাবেই হারিয়ে যেতে পারে জগৎ বিখ্যাত শান্তিপুরের ঐতিহ্য।