নকশালবাড়িতে ক্ষতিগ্রস্থদের অবস্থা দেখে চোখে জল দার্জিলিং জেলা সভাপতির, দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস
নকশালবাড়ির অন্তর্গত মুড়ি বসতির এলাকার বাসিন্দাদের নিদারুণ অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দার্জিলিং জেলা সভাপতি। বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শোনবার পড়ে তিনি নিজেকে কিছুতেই ঠিক রাখতে পারলেন না। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা দার্জিলিং জেলা সভাপতি জানান কিভাবে তাদের আতঙ্ক এর মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। সব সময় তাদের ভয় হয় কোন সময় কি ঘটে যাবে। এইরকম পরিস্থিতিতে থাকতে তারা আর থাকতে পারছেন না, উল্লেখ্য এই বিষয়ে তারা জানান দার্জিলিং জেলা সভাপতি কে।বিগত কিছু দিন ধরে ভাঙা ঘরে কোনরকম ভাবে করছেন,আর রাতে খোলা আকাশের নীচে দিন দিন কাটছে তাদের । তারা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরে তাদের কাজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। কাজে না যাওয়ার কারনে রোজগার প্রায় বন্ধ হয়। আগামী দিনগুলো কিভাবে তাদের কাটবে বুঝেই উঠতে পারছেন না। এদিন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ মুড়ি বসতি এলাকায় যেতেই ,ওই গ্রামের মহিলারা ভেঙে পড়েন তার কাছে। জেলা সভাপতি সবাইকে শান্তনা জানাতে গিয়ে তিনি নিজেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাসিন্দারা জানান তারা আতঙ্ক নিয়ে চলছেন কখন কি হবে। আতঙ্ক না কাটার জন্য, তারা তাদের বাচ্চাদের বিদ্যালয় পাঠাতে পারছেন না। জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ তাদের সান্তনা দিয়ে জানান তাদের দল এবং তিনি তাদের পাশে আছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।যতগুলি ঘর ভেঙে গেছে তিনি দায়িত্ব নেবেন সারিয়ে তুলতে। এছাড়া প্রতি বাড়িতে খাবারের ব্যাবস্থা করবেন বলে জানান। মহিলারা তাঁকে জানান তারা প্রত্যেকদিন আতঙ্ক নিয়ে চলছেন, তিনি সব শুনে তাদের জানান আর কিছু হবে না,উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেবে দল। প্রত্যেক বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেবে রাজ্য সরকার। তিনি আরো জানান সময় আসলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এই ব্যাপারে তিনি তার কর্মীদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান। বাসিন্দারা আরো তাকে জানায়, এই বর্ষায় ঘর ভেঙে যাওয়ায় কারণে বৃষ্টি হলে প্রচণ্ডভাবে সমস্যায় পড়বেন তারা। তিনি যদি ব্যাবস্থা নেন তবে একটু সমস্যা কম হবে। জেলা সভাপতি তাদের আশ্বাস দেন,তিনি পাশে আছেন কোন সমস্যা হবে না। এছাড়া তিনি এই বিষয়ে আরো জানান ফিরে গিয়ে তিনি তার আধিকারিকদের সাথে কথা বলে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেবেন।